Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর

কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর
আঃ গাফ্ফার খান
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের রূপকল্প হচ্ছে উৎপাদক, বিক্রেতা ও ভোক্তা সহায়ক কৃষি বিপণন ও কৃষি ব্যবসা উন্নয়ন। সে সাথে আধুনিক সুবিধা সংবলিত বাজার অবকাঠামো নির্মাণ এবং কৃষিপণ্যের বিপণন ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের চাহিদা ও জোগান নিরূপন, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও অত্যাবশ্যকীয়  কৃষিপণ্যের মূল্য ধারার আগাম প্রক্ষেপণ এবং এ বিষয়ক তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রচার করাই হলো এ প্রতিষ্ঠানের অভিলক্ষ্য। 
প্রধান কার‌্যাবলী 
কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ অনুসারে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কার‌্যাবলি হচ্ছে : কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা; কৃষিপণ্যের মূল্যনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; কৃষি বিপণন ও কৃষি ব্যবসা উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; কৃষক ও কৃষিপণ্যের বাজার সংযোগ সৃষ্টি ও সুষ্ঠু সরবরাহের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান; কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণন ও ব্যবসা সম্পর্কিত অর্থনৈতিক গবেষণা পরিচালনা; কৃষিপণ্য উৎপাদন ও ব্যবসায় নিয়োজিত কৃষক, কৃষি ব্যবসায়ী, প্রক্রিয়াজাতকারী, রপ্তানিকারক ও ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের সহিত নিবিড় সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ; সুষ্ঠু বিপণনের স্বার্থে কৃষিপণ্য উৎপাদন এলাকায় বাজার অবকাঠামো, গুদাম, হিমাগার, কুলচেম্বার ইত্যাদি নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা জোরদারকরণ; কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণের মজুদ বা গুদামজাতকরণ, পণ্যের গুণগতমান, মেয়াদ, মোড়কীকরণ ও সঠিক ওজনে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিবীক্ষণ;কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন মূল্য ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন; কৃষিপণ্যের মূল্য সংযোজন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান; কৃষিপণ্যের অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ; বাজারকারবারি অথবা কৃষি ব্যবসায়ী সংগঠন, সমিতি, সংস্থা, কৃষিভিত্তিক সংগঠন ও সমবায় সমিতিসমূহকে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তালিকাভুক্তকরণ এবং প্রয়োজনে জাতীয় এবং জেলা পর্যায়ে কৃষিভিত্তিক সংগঠন সমূহের ফেডারেশন অথবা কনসোর্টিয়াম গঠন; বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সুপারশপে সংরক্ষিত কৃষিপণ্যের গুণগতমান, নির্ধারিত মূল্য ও বিপণন কার্যক্রম পরিদর্শন, পরিবীক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরামর্শ প্রদান; কৃষিপণ্য ও কৃষি উপকরণের বিপণন কার্যক্রম সংক্রান্ত মান সংরক্ষণ, পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ এবং সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ
কৃষক, ব্যবসায়ী এবং ভোক্তার স্বার্থে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এবং কৃষি বিপণন বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের খুচরামূল্য সহনীয় রাখতে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে; নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিদের সাথে যৌথভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে; ০৪ আগস্ট, ২০২১ তারিখে চালু হয়েছে কৃষিপণ্য কেনাবেচার ডিজিটাল প্লাটফর্ম সদাই। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্তৃক চালুকৃত এ প্লাটফর্মে কৃষিপণ্য অর্ডার, উদ্যোক্তা নিবন্ধন, অর্ডার ট্র্যাকিং, মাননিয়ন্ত্রণ, ভোক্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে; কোভিড-১৯ কালীন সময়ে নিরাপদ কৃষি বিপণন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে খুলনা জেলায় হাতের মুঠোয় কাঁচাবাজার নামে মোবাইল অ্যাপসভিত্তিক অনলাইন বিপণন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে এবং বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ কাঁচাবাজার চালু করা হয়েছে; কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত মাঠ পর্যায়ের ৬৪টি জেলা অফিস ও ৪টি উপজেলা অফিস হতে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে পাইকারি, খুচরা ও কৃষকপ্রাপ্ত বাজারদর সংগ্রহ ও সংকলনপূর্বক ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রতি বছর ৬০,৮৭০ বাজার তথ্য ১২,০৬৫ বুলেটিন ও ৯১০টি প্রতিবেদন আকারে প্রচার করা হয়েছে; কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, দরকষাকষির সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, কৃষি ব্যবসার উন্নয়ন, কৃষিপণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, সহজ বিজ্ঞাপন ও বাজার সংযোগের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও আধুনিক বিপণন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রচলিত কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রায় ১০০০টি নিয়ন্ত্রিত বাজারের প্রায় ৫০,০০০ জন কৃষিপণ্যের বাজারকারবারীদের মধ্যে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করা হয়েছে; কৃষিপণ্যের বাজারকারবারীদের মধ্যে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন বাবদ ২০০৯-২০২১ পর্যন্ত ১৩ বছর সময়কালে প্রায় ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ননট্যাক্স রেভিনিউ আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে; কৃষকদের অভাবতাড়িত বিক্রয় রোধ করার জন্য শস্য গুদাম ঋণ কার্যক্রমের আওতায় ২০০৯-২০২১ পর্যন্ত ১৩ বছর সময়কালে ৮১টি গুদামের মাধ্যমে ৮২,৯৭৭ জন কৃষকের ৮৮,৩৮৮ মে. টন শস্য জমার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২,৫২৬.৭০ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে; কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ, বাজার সংযোগ স্থাপন ও কৃষকদের দরকষাকষির ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির অধীনে প্রায় ২০০০টি কৃষক গ্রুপ/কৃষক বিপণন দল গঠন করা হয়েছে। এ সকল গ্রুপে সর্বমোট ৫০০০০ জন কৃষক সদস্য রয়েছেন; কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় কর্তনোত্তর প্রযুক্তি, ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ, শাকসবজি ও ফলমূল প্যাকেটজাতকরণ, ফ্রেশকাট, মিক্সড সবজি ও ফলমূল বিপণন, বাজার ব্যবস্থাপনা, মূল্য সংযোজন, উচ্চমূল্যের ফসল সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রায় ৯৫,০০০ জন কৃষক/ উদ্যোক্তা/বাজারকারবারি/সুপারশপ প্রতিনিধি/বাজার কমিটির সদস্যগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।                   
কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং ভোক্তাদের নিরাপদ শাকসবজি প্রাপ্তির লক্ষ্যে সরাসরি কৃষকের অংশগ্রহণে ঢাকাস্থ মানিক মিয়া এভিনিউতে কৃষকের বাজার চালু করা হয়েছে; কৃষকদের বিপণন অবকাঠামো সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচির আওতায় ১৮টি অ্যাসেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এ সকল অ্যাসেম্বল সেন্টারে কৃষক ও ব্যবসায়ী সরাসরি পণ্য বিক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে; কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ০৬টি গবেষণা শাখা ও অন্যান্য শাখা ও জেলা হতে থেকে প্রতি অর্থবছরে কৃষিপণ্যের মূল্যভিত্তিক ৩০০টি প্রতিবেদন এবং ২০,০০০টি পোস্টার, হ্যান্ডবিল, স্টিকার, ব্রুশিয়ার, বুকলেট ইত্যাদি প্রকাশ করা হয়েছে; বাংলাদেশের ফুল বিপণন ব্যবস্থা উন্নয়নে ঢাকার গাবতলীতে ফুলের পাইকারি বাজার এবং প্রসেসিং সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ এবং ঢাকার সাভারে ফুলের মোট ০৫টি অ্যাসেম্বল সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে; খুচরা বাজারে কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে খুচরা, পাইকারি, আড়তদার, সুপারশপ ও অন্যান্য কৃষি ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তদানুযায়ী সারা দেশে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
স্বল্পমেয়াদি (০১ বছর) : উদ্ভাবনীমূলক কৃষি বিপণন সেবা প্রদানে জেলা, উপজেলা, বিভাগ ও প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকে সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান; স্বল্পমূল্যে বিআরটিসির ট্রাক, ডাক বিভাগের কৃষক বন্ধু ডাক সেবা ও রেলগাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহন প্রতিটি জেলায় প্রচার প্রচারণা চালানো ও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা এবং কৃষিপণ্যের নিয়মিত বাজার মনিটরিং, ওয়েবসাইট, ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড ও বুলেটিন আকারে মূল্য প্রচার। আমদানিকৃত কৃষিপণ্য/উপকরণের পরিমাণ ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ ও সংকলন করা; মূল্য, গুণগত মাননিয়মিত মনিটরিং করা ও কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন ও আমদানি/রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে সমন্বয় করা। ধান ও চালের সঠিক উৎপাদন খরচ নির্ণয় করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া, কৃষকপ্রাপ্ত বাজার দর ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও তুলনামূলক প্রতিবেদন প্রস্তুত করা। চালের দাম বৃদ্ধি/অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চালকল মালিক, আড়তদারদের ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে কারণ ও করণীয় নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা করা। কৃষক বিপণন গ্রুপ/দল গঠন এবং উৎপাদক ও বিক্রেতার সাথে ভোক্তার সংযোগ স্থাপনে সহায়তা প্রদান, ছোট, মাঝারি ও বড় বাণিজ্যিক কৃষক চিহ্নিত করে আলাদা বিপণন দল গঠন ও সমবায় বিপণনে উৎসাহ প্রদান করা; কৃষি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া। বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে সভা/সেমিনার করা এবং কৃষি বিপণন ঋণ প্রাপ্তিতে সহায়তা করা; সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলখানা, হাসপাতাল ও এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃকক্রয়কৃত প্রতিদিনের সবজি যেন সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হয় সে বিষয়ে পত্র প্রেরণ ও মধ্যস্থতাকারীর কার্যকর ভূমিকা পালন করা; কৃষকের বাজার জেলা/উপজেলা পর্যায়ে বৃহৎ পরিসরে সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও স্বল্প পরিসরে প্রতিটি জেলায় কার্যক্রম শুরু করা; কৃষকের বাজার পরিচালনায় আপদকালীন সময়ে রাজস্ব বাজেট থেকে অর্থের সংস্থান করা। প্রতিটি জেলায় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান কৃষিপণ্যের বাজার কার্যক্রম আরও জোরদারকরণ; সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে অন্তর্ভুক্তকরণে মন্ত্রণালয়/জেলা/উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংগঠনগুলোকে উদ্বুদ্ধকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করা।
মধ্যমেয়াদি (২-৩ বছর) : জেলাভিত্তিক নিত্যপ্রয়োজনীয়  কৃষিপণ্যের চাহিদা নির্ণয় এবং সে অনুযায়ী উৎপাদন নিশ্চিতকরণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করা; ফসল সংগ্রহোত্তর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, গুণগত মান নিশ্চিতকরণ ও অধিক মূল্য পেতে প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশে-বিদেশে প্রচলিত বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা; কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ ও কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়নে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং জেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন প্রসেসিং কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ; কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্যোক্তা গঠন ও মেরামত ও চালনা প্রশিক্ষণ। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ ও কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়নে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং জেলাপর্যায়ে নির্মাণাধীন প্রসেসিং কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা গ্রহণ। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উদ্যোক্তা গঠন এবং মেরামত ও চালনা প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ।
কৃষিপণ্য উৎপাদক, মধ্যস্থকারবারী ও ব্যবসায়ীদের ডাটাবেজ তৈরিকরণ। কৃষিপণ্যের সাপ্লাই চেইনের সকল অংশীজনের বিস্তারিত তথ্য সংবলিত ডাটাবেইজ তৈরিপূর্বক ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এবং এ সংক্রান্ত ডায়েরি প্রস্তুত করা; সুপারশপ, ই-কমার্স ও বড় বড় প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান যাতে সরাসরি কৃষকের সাথে চুক্তিভিত্তিক চাষ পদ্ধতিতে যায় সেজন্য উভয়পক্ষের মধ্যস্থতা করা, মনিটরিং করা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দেয়া; কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি ও রপ্তানি সম্প্রসারণ সহায়ক সেবা জোরদারকরণ, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, গ্রেডিং, সর্টিং, প্রমিতকরণ ও মোড়কীকরণ বিষয়ে ভিডিও/ডকুমেন্টারি সংকলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটটিকে সংস্কার করে আধুনিক রূপরেখা প্রদান করা; ই-কৃষি বিপণনের আওতায় উন্নয়নকৃত প্লাটফর্মের সাথে সমন্বয় করা। দেশের সকল কৃষিপণ্য, উপকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতির বাজারজাতকরণ সেবাকে ই-মার্কেটিংয়ের আওতায় আনা। দেশে-বিদেশে আধুনিক কৃষি বিপণন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে বিপণনকর্মী মনোনয়ন ও প্রশিক্ষণ খাতে অর্থসংস্থান বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ। আঞ্চলিক ও জেলা প্রশিক্ষণ সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ ও কার্যক্রম বৃদ্ধি করা। 
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের গবেষণা শাখাকে শক্তিশালী করা ও গবেষণার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত কৃষিপণ্যের সাপ্লাই চেইন, ভ্যালু চেইন ও টেকসই বাজারজাতকরণ নিয়ে গবেষণা করা ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় বৃদ্ধি করা; নারী কৃষি উদ্যোক্তা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা এবং কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণকে স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ; কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি, কর্তনোত্তর ক্ষতি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা, কৃষি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, মূল্য সংযোজন, বাণিজ্যিক কৃষি উন্নয়ন, কৃষিপণ্যের দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা তথা উদ্ভাবনমূলক কৃষি বিপণন গবেষণার উন্নয়ন। উক্ত বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা করা এবং বিভিন্ন মিডিয়া ও জার্নালে প্রকাশের ব্যবস্থা করা। অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করা।
দীর্ঘমেয়াদি (৪-৫ বছর) : পলিশেড নির্মাণের মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য নিরাপদ সবজি, ফল ও ফুল উৎপাদন কার্যক্রম গ্রহণ। পলি শেডে উৎপাদিত রপ্তানিযোগ্য নিরাপদ সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, মূল্য সংযোজন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহায়তা করা; উচ্চমূল্য ফসলের সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়মিত রাখা, বাজার সংযোগ করে দেয়া ও মনিটরিং এবং মোবাইল কোর্ট অব্যাহত রাখা; বাজার অবকাঠামো, সংরক্ষণাগার ও বিশেষায়িত কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও সেবা সম্প্রসারণ করা; কৃষিপণ্য সংরক্ষণের স্থানীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সচেষ্ট হওয়া, যার মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। কৃষিপণ্যের মূল্যনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরি, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু করা। 
কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে অবকাঠামো ও লজিস্টিক খাতসহ মূলধন খাতে পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ; প্রয়োজনে ভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর; বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো ও লজিস্টিকসহ মূলধন খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারস্পারিক সম্পর্ক জোরদার করা। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে প্রক্রিয়াজাতকরণ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নে কর্মসূচি/প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ। মৌসুমভিত্তিক বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন খরচ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ সুবিধা ও আর্থিকভাবে লাভ-ক্ষতির তুলনামূলক বিশ্লেষণযুক্ত গবেষণা করা ও কৃষক এবং ব্যবসায়ীদেরকে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে সাহায্য করা। হাওর অঞ্চলে ভাসমান বাজার স্থাপনে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া। শস্য সংরক্ষণ ও লাভজনক সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা ও দেশীয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নিয়মিত গবেষণা করা ও অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় বৃদ্ধি করা।
বহু বছরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সুদীর্ঘ পরিকল্পনা, আর খেটে খাওয়া মেহনতি কৃষকের শ্রম, ঘাম আর রক্তের বিনিময়ে আমাদের কৃষিতে আজকের এ অর্জন। কৃষি, কৃষক, কৃষি ব্যবসায়ীর উন্নয়নে একটি কার্যকর বিপণন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।

লেখক : মহাপরিচালক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা। ফোন : ০২৫৫০২৮৪৫৫, ই-মেইল : dg@dam.gov.bd


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon